প্রোগ্রামিং নিয়ে কিছু কথা




প্রোগ্রামিং এমন একটি বিষয় যার শুরু আছে শেষ নেই। আর এটি নিয়মিত চর্চার বিষয়। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হয়া যায়।

প্রোগ্রামিং” অধ্যায়ে আমরা “C” প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নিয়ে আলোচনা করব। C- একটি মিড লেভেল বা মধ্যম পর্যায়ের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। কারন C- তে হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ (যেমন Pascal, Fortran, BASIC) এবং লো-লেভেল ল্যাংগুয়েজ (যেমন Assembly) এর সমন্বয় করা যায়।

আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানি ডেনিস রিচি C-এর উদ্ভাবক। ১৯৭০ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে তিনি এ ভাষার উদ্ভাবন করেন। ১৯৮৩ সালে American National Standard Institute (ANSI), C- ল্যাংগুয়েজকে ANSI C হিসেবে ঘোষণা করে।

প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ লেখার জন্য একধরনের বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। একে কম্পাইলার বা ইন্টারপ্রেটার বলা হয়। যেহেতু কম্পিউটার 0 এবং 1 ছাড়া কিছুই বোঝে না তাই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকে  মেশিন বা কম্পিউটারের ভাষায় রুপান্তর করতে হয়। এই কাজটাই কম্পাইলার বা ইন্টারপ্রেটার করে থাকে। অতএব যে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকে  মেশিন বা কম্পিউটারের ভাষায় রুপান্তর করে তাকে কম্পাইলার বা ইন্টারপ্রেটার বলে। C- এর কোড লেখার জন্য বিভিন্ন কম্পাইলার আছে যেমন Turbo C, Visual C, CodeBlocks ইত্যাদি। সব কম্পাইলারেই কোড লেখার নিয়ম প্রায় একই। কোডের মূল বিষয় টা বুঝলে কম্পাইলার কোনো সমস্যা না। আমি এখানে কোড লেখার জন্য CodeBlocks কম্পাইলারটি ব্যবহার করবো। নিচে কম্পাইলারটির ডাউনলোড লিংক দেওয়াজাবে।লিংকে ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটি পেজ আসবে। নিচের ছবির লাল দাগ চিহ্নিত অংশের “Download From” কলামে দুইটি লিংক দেয়া আছে। এর যে কোনো একটি লিংক এ ক্লিক করলেই কম্পাইলারটি ডাউনলোড করা যাবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সংখ্যা পদ্ধতির রুপান্তর (১)

সংখ্যা পদ্ধতি রুপান্তর (২)

প্রথম অধ্যায় : প্রথম অংশ